Header Ads

Header ADS

Provision for performing Eid prayers at home in case of lockdown


Welcom to my website Soyaeb Hossain

#লকডাউন অবস্থায় বাড়িতে ঈদের সালাত আদায়ের বিধানঃ

,
বর্তমানে করোনার কারণে ঈদের সালাত নিয়ে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এই ব্যাপারে শরীয়তের বিধান জানতে চেয়েছেন। এই ব্যাপারে সর্বপ্রথম আমার পরামর্শ হচ্ছে আমরা যেন এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যাবহার না করি।
,
#আপনি যেখানে বসবাস করতেছেন সেখানে অবস্থা যদি খারাপ হয়ে থাকে অথবা আপনি ব্যক্তিগতভাবে যদি সর্তকতা অবলম্বন করে চলেন। একান্তই প্রয়োজন ছাড়া যদি ঘর থেকে বের না হন তাহলে আপনার জন্য এই ফত‌ওয়া। আর যদি আপনার অবস্থা হয় আমাদের গ্রামাঞ্চলের মতো যে, বাজার ঘাটে গেলে বুঝার উপায় থাকেনা যে বর্তমানে এতো ভয়ংকর বিপদ যাচ্ছে আমাদের মাথার উপর দিয়ে। বাজার ঘাটে একবার না গিয়ে আড্ডা দিলে দম বন্ধ হয়ে আসে। আপনার অবস্থা এমন হইলে আপনার জন্য মসজিদে নামাজে না যাওয়া ও ঈদের নামাজে না যাওয়ার‌ কোনো যৌক্তিকতা নেই। ‌ অতএব, আপনার এলাকায় ঈদের সালাত অনুষ্ঠিত হলে আপনি ঈদগাহে যাবেন। বাজারে গেলে করোনায় পায় না। সকল করোনা শুধু মসজিদে আর ঈদগায়ে; এমন সুযোগ সন্ধানী মুসলমানদের জন্য জাময়াত মাফ নেই।
,
#আর প্রথম শ্রেণীর মুসলিম ভাইদের জন্য ঈদের সালাতের ব্যাপারে সলফে সালেহীনদের তিনটা মতামত পাই। যেহেতু করোনা নতুন উদ্ভাবন। সাহাবীদের যুগে কিনবা ইমামদের যুগে এটা ছিল না, এই জন্য যে কোনো কারণেই কেউ ঈদগাহে যেতে না পারলে অথবা গিয়ে নামাজ না পেলে তার বিধান কি হবে সেটার উপর কিয়াস করে এটার বিধান দিতে হবে।
#সুতরাং

১) ইবনে মাসউদ (রাঃ) ইমাম ইবনে কুদামা, ইমাম ইসহাক সহ একদল আলেম বলেন,
ومن فاتته صلاة العيد صلى أربع ركعات كصلاة التطوع فهو مخير، إن شاء صلاها أربعا، إما بسلام واحد ، وإما بسلامين.
"কারো যদি ঈদের সালাত ছুটে যায় তাহলে সে (বাড়িতে) নফল নামাজের মতো চার রাকাত সালাত আদায় করবে। চাইলে এই চার রাকাত এক সালামে আদায় করতে পারে অথবা দুই সালামেও করতে পারে, তার স্বাধীনতা রয়েছে। (আল মুগনী- ২/২৮৯)
,
২) ইমাম আবু হানিফা , হযরত আতা , আওযায়ী ও ইমাম আহমদ সহ একদল আলেমের মতে, অতিরিক্ত তাকবীর ছাড়া দুই রাকাত (নফল) সালাত আদায় করবে। (ফাতহুল বারী, ৯/৭৭)
,
৩) ইমাম জুওজাযানি, ইব্রাহীম নাখায়ী, ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়িসহ একদল আলেমের মতে অতিরিক্ত তাকবীর সহ (খুতবা ছাড়া) ঈদের নামাজের মতো দুই রাকাত সালাত আদায় করবে।‌ দলিল হিসেবে তারা হযরত আনাস (রাঃ)-এর কর্মকে উপস্থাপন করেছেন। তিনি ঈদের নামাজ না পেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাকবীর সহ দুই রাকাত সালাত আদায় করেছিলেন।
,
#ফলাফলঃ অধিকাংশ আলেমগণ তৃতীয় মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। অর্থাৎ খুতবা ছাড়া অতিরিক্ত তাকবীর সহ দুই রাকাত সালাত আদায় করবে, একা হোক অথবা জামাতে হোক। তবে যেকোনো একটার উপর আমল করলে যথেষ্ট হবে। সব থেকে বড়ো কথা তারা কেউই মাঠে বা ঈদগাহে নামাযের মতো বাড়িতে সালাত আদায়কে ওয়াজিব বলেননি। বাড়িতে সালাত আদায় করা মুস্তাহাব কর্ম । অতএব, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কাম্য নয়।
,
وإن شاء صلاها على صفة صلاة العيد بتكبير، نقل ذلك عن أحمد إسماعيل بن سعيد، واختاره الجوزجاني، وهذا قول النخعي، ومالك، والشافعي، وأبي ثور وابن المنذر؛ لما روي عن أنس، أنه كان إذا لم يشهد العيد مع الإمام بالبصرة ، جمع أهله ومواليه، ثم قام عبد الله بن أبي عتبة مولاه، فصلى بهم ركعتين، يكبر فيهما.
ولأنه قضاء صلاة، فكان على صفتها، كسائر الصلوات، وهو مخير، إن شاء صلاها وحده، وإن شاء في جماعة.
وبهذا يتبين أن كونه يصليها على صفة صلاة العيد مع الإمام هو قول جمهور العلماء ، فيصليها على صفتها ، أي ركعتان بالتكبيرات الزوائد، دون خطبة.

No comments

Powered by Blogger.