Below are some of the provisions for performing prayers while sitting in a chair
★★ চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের কয়েকটি বিধান নিচে তুলে ধরা হলো★*★—
১. কিয়াম, রুকু ও সিজদা- নামাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; যা নামাজের রুকন বা ফরযের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি এই রুকনগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও অবহেলা করে ছেড়ে দেয় বা চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করে, তার নামাজ আদায় হবে না। আর কেউ যদি কোন রুকন প্রকৃতপক্ষেই আদায় করতে সক্ষম না হয় বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে সে মাযুর (অক্ষম) সাব্যস্ত হয়, তাহলে সে এ রুকনটি ইশারার মাধ্যমে আদায় করে নিবে। এতে তার নামাজ পরিপূর্ণ বলে গণ্য হবে এবং সে পূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে। -রদ্দুল মুহতার : ১/৪৪২ হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) বলেন- كانت بي بواسير فسألت النبي صلى الله عليه وسلم عن الصلاة فقال صل قائما فإن لم تستطع فقاعدا فإن لم تستطع فعلى جنب -সহিহ বোখারি; হাদিস নং- ১১১৭) ২. সুতরাং কেউ যদি দাঁড়াতে সক্ষম না হয়, কিন্তু মাটিতে বসে সিজদা করতে সক্ষম, তাহলে তাকে মাটিতে বসে সিজদা করে নামাজ আদায় করতে হবে। চেয়ারে বসে ইশারা করে রুকু সিজদা করলে তার নামাজ আদায় হবে না। আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (রাহ.) বলেন- ولايصح الإيماء بهما – ( الركوع والسجود) – مع القدرة عليهما، بل شرطه تعذرهما۔ -রদ্দুল মুহতার ২/৯৯, এইচ. এম. সাঈদ৩. তবে যে ব্যক্তি দাঁড়াতেও সক্ষম না এবং জায়নামাজে বসে সিজদা করতেও সক্ষম না, চেয়ার বা নীচে বসে ইশারার মাধ্যমে সিজদা করা ছাড়া তার উপায় নেই, এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিধান হল, যথাসম্ভব জায়নামাজে বসেই ইশারা করার চেষ্টা করবে। এটাই উত্তম। কারণ বৈঠকে অধিক বিনয় প্রকাশ পায় এবং বৈঠক সিজদার নিকটবর্তী অবস্থান। তবে কেউ যদি নীচে বসতে সক্ষম না হয়, কিংবা এতে তার অধিক কষ্ট হয়, এমন ব্যক্তির জন্যে চেয়ারে বসে ইশারায় নামায আদায় করতে কোনো বাধা নেই। নিঃসন্দেহে তার নামাজ বিশুদ্ধভাবে আদায় হয়ে যাবে। ইমাম আল মারগীনানী (রাহ.) বলেন- والأفضل هو الإيماء قاعدا ، لأنه أشبه بالسجود (আল-হিদায়া- ১/১৬২)। হযরত ইবনে আবী লায়লা (রাহ.) রর্ণনা করেন- عن عطاء قال في صلاة القاعد يقعد كيف شاء (মুসান্নাফু ইবনি আবী শায়বা ৬/৬৬, হাদীস নং- ৮৮৭৩)। ইমাম সারাখসী (রাহ.) বলেন- والمصلى قاعدا تطوعا أو فريضة بعذر يتربع ويقعد كيف شاء من غير كراهة إن شاء محتبيا وإن شاء متربعا لأنه لما جاز له ترك أصلالقيام فترك صفة القعود أولى. (جـ 1 صـ 902) ৪. যে ব্যক্তি দাঁড়াতে এবং বসতে সক্ষম কিন্তু সিজদা করতে সক্ষম না, সিজদা তাকে ইশারায় করতে হয়। এমন ব্যক্তির জন্য কিয়ামের ফরয আদায়ের লক্ষ্যে দাঁড়ানো আবশ্যক, না বসে নামাজ পড়লেও নামায আদায় হবে। এতে দু’টি মত রয়েছে। আমাদের হানাফি মাজহাবের প্রসিদ্ধ মত হল, তার জন্য দাঁড়ানো আবশ্যক নয়; বসে পড়লেও তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে অনেকের অভিমত হচ্ছে, যতটুকু সম্ভব দাঁড়িয়ে কিয়ামের ফরয আদায় করতে হবে। তারপর সম্ভব হলে রুকু করবে। তারপর তার জন্য দুটি পন্থা রয়েছে, যে কোন একটি অবলম্বন করতে পারবে- এক. বসে ইশারার মাধ্যমে সিজদা আদায় করা। এটা উত্তম। দুই. দাঁড়িয়ে ইশারার মাধ্যমে সিজদা আদায় করা। তখন সিজদার জন্য মাথাকে রুকুর চেয়ে একটু বেশি নিচু করবে। ইমাম আইনী (রাহ.) উল্লেখ করেন- وعن أبي جعفر الطحاوي : ولو قدر على بعض القيام ولو قدر آية أو تكبيرة يقوم ذلك القدر وإن عجز عن ذلك قعد، وإن لم يفعل ذلك خفتأن تفسد صلاته، هذا هو المذهب، ولا يروى عن أصحابنا خلافه، وكذا إذا عجز عن القعود وقدر على الاتكاء أو الاستناد إلى إنسان أو حائطأو وسادة لا يجزئه إلا كذلك. ولو استلقى لا يجزئه -আল বেনায়া- ২/৬৩৫, মাকতাবা নাঈমিয়া উভয় মতানুসারে বসার ক্ষেত্রে জায়নামায বা নীচে বসা আবশ্যক, নাকি চেয়ারে বসতে পারবে? এ বিধানটি তিন নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে। -রদ্দুল মুহতার- ২/৯৮, ইলাউস সুনান; ৭/১৯৮ দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা
No comments